বিশ্বের অর্থনৈতিক হাল বেহাল হয়েছে । ভারত থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি দেশ ধুঁকছে অর্থনৈতিক সংকটে।সেখেত্রে পাকিস্তান বাদ যায় নি । এমনিতেই পাকিস্তানের লোকজন ভুগছে মুদ্রাস্ফীতির কারনে নাজেহাল।অত্যাবশ্যাক সামগ্রীর আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধিতে আতান্তরে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। দেশের অর্থনীতির হাল প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন ইমরান খান। কিন্তু এই প্রতিশ্রুতি রক্ষার সাফল্য নেই ইমরান খান সরকারের। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে, আদার দাম ১,০০০ টাকা কেজি, এবং গম প্রতি কেজি ৬০ টাকা কিনতে হয়। আর ডিমের দাম শুনলে ও চক্ষু ছানাবড়া হয়ে যেতে পারে। এক একটি ডিমের দাম ৩০ টাকা! নামাল পাঠালে খাবি শীতের জন্য পাকিস্তানের ডিমের চাহিদা বেড়েছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দাম।
জিনিসপত্রের দাম এতটাই বেড়েছে যে, সাধারন মানুষের অনেকেই তাদের দৈনন্দিন নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতেও হিমশিম খাচ্ছেন। পাকিস্তানের একসাথে ডিম কিনলে ডজনের জন্য দিতে হচ্ছে ২৪০ টাকা। মুরগির মাংসের দাম বেড়ে হয়েছে প্রতি কেজি ৩০০ টাকা।
ভারতের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানে এখনো জনসংখ্যার প্রায় ৫০ শতাংশ দারিদ্র্য সীমার নিচে। কাজেই দৈনন্দিন অত্যাবশ্যক সামগ্রীর আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধিতে তাদের যে অবস্থা হচ্ছে তা সহজেই অনুমান করা যায়। পাকিস্তানি চিনির দাম প্রতিকেজি ১০৪ টাকা। রান্নার গ্যাসের অভাব তো আছেই।তার মধ্যে এই মূল্যবৃদ্ধিতে স্বাভাবিকভাবে অনেকেরই দু'বেলা দু'মুঠো খাবার জোগাড় করতে সমস্যায় পড়ছেন । পাকিস্তানি খাদ্যশস্য সংকটো চলছে। সেইসঙ্গে ঘরোয়া গ্যাসের সমস্যা আরো তীব্র আকার ধারণ করেছে। পরিস্থিতি এমনই দাড়িয়েছে যে,চিনি ও আটার দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য ইমরান সরকারকে বাড়ি বাড়ি মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকতে হচ্ছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন